"শান্তির দায়িত্ব আমার" -শর্ত মেনে মোথাবাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী , বললেন – "আমি আছি, ভয় নেই" | NIA তদন্তের দাবি বিরোধী দলনেতার
বিশেষ প্রতিবেদন: প্রবীর রায় চৌধুরী | Manusher Bhasha
মালদার মোথাবাড়ির সাম্প্রতিক হিংসা ও উত্তেজনার ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব এবার সরাসরি নিজের কাঁধে তুলে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।আক্রান্তদের দিলেন নিরাপত্তার আশ্বাস। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শর্ত মেনেই শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে তাঁর জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া সময়ে সফর সারেন তিনি। সেখানে তিনি পৌঁছাতেই ওঠে "জয় শ্রী রাম" ধ্বনি ।
কিছুদিন আগে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মোথাবাড়ি এলাকা। দোকান, বাড়ি, গাড়িতে ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ—এরপরই পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহারে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের তরফে এখনো পর্যন্ত ৬টি মামলা রুজু হয়েছে এবং একাধিক গ্রেফতারিও ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন, “সরকার হিন্দুদের রক্ষা না করে চেপে ধরেছে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসল দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা হাইকোর্টে ৬ জন আক্রান্তের হয়ে মামলা করেছি এবং CBI ও NIA তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”
Mothabari at Malda had witnessed communal tensions prior Ram Navami and GoWB adminstration for long has been preventing BJP from entering the area. Today LoP Suvendu Adhikari finally arrived with Court permission to stand with the affected. He was given a grand welcome by the… pic.twitter.com/gd2JE5RGyN
— Sudhanidhi Bandyopadhyay (@SudhanidhiB) April 11, 2025
অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে
তিনি জানান, আদালতের শর্ত অনুযায়ী তিনি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য বা ভাষণ না দিয়ে শুধুমাত্র আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্যর প্রতিশ্রুতি দেন । মোথাবাড়ির পালপাড়ায় গিয়ে একাধিক পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তাদের উপর ঘটে যাওয়া হামলা ও লুটপাটের কথা জানান।
আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়
শুভেন্দুর কটাক্ষ, “পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার সময়ে নেয়নি। হামলাকারীরা পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে। এমনকী ফেসবুক লাইভ করে ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা হঠাৎ হয়নি, আগে থেকেই জানিয়ে করা হয়েছে। যদি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাহলে আইনমাফিক ব্যবস্থা নিতে হয়। আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।”
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, “ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুরে যেমন স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি, তেমনই মোথাবাড়িতেও শান্তির দায়িত্ব আমার। যারা হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”
এদিকে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণেও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাজ্য সরকারেরই দায়িত্ব।
শুভেন্দু অধিকারীর এই সফর যে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে, তা বলাই যায়। 'মানুষের ভাষা' ব্লগ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ ও শুভেন্দুর দাবির দিকে বিশেষ নজর রাখছে।