ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মূল উপভোক্তা গান্ধী পরিবার: ইডি-র চার্জশিটে দাবি
সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:
- সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী অভিযুক্ত নম্বর ১ ও ২
- AJL-এর ৯৯% শেয়ার মাত্র ৫০ লাখে ইয়ং ইন্ডিয়ানের হাতে
- বর্তমানে সম্পত্তির বাজারমূল্য ৫,০০০ কোটি টাকা
- চ্যারিটেবল সংস্থা হলেও ইয়ং ইন্ডিয়ান কোনো জনহিতকর কাজ করেনি
- ইডির চার্জশিটে অভিযুক্ত আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতা
ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দ্বারা দায়ের করা চার্জশিট অনুযায়ী, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অভিযুক্ত নম্বর ১ এবং রাহুল গান্ধীকে অভিযুক্ত নম্বর ২ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চার্জশিটের স্বীকৃতি গ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়ে বিশেষ আদালত ২৫ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেবে।
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র : ED
ইডি অভিযোগ করেছে যে, সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী একটি "অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র" করে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL)-এর সম্পত্তি দখল করেছেন। মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে তারা AJL-এর ৯৯ শতাংশ শেয়ার একটি ব্যক্তিগত সংস্থা 'ইয়ং ইন্ডিয়ান'-এর নামে স্থানান্তর করেন, যার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সোনিয়া ও রাহুলের হাতে।
ED filed chargesheet against Rahul and Sonia Gandhi in National Herald case.
— 🇮🇳Shiva Reddy Palle🇮🇳🚩(Modi Ji Ka Parivar) (@PSR4Bharat) April 15, 2025
240 working better than 303🙄 pic.twitter.com/0CvYzrlILH
AJL-এর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা
ইডি জানিয়েছে, AJL-এর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৯৮৮ কোটি টাকাকে "অপরাধলব্ধ অর্থ" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, AJL-কে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতারা—যেমন স্যাম পিত্রোডা ও সুমন দুবেকে—অভিযুক্তদের তালিকায় রাখা হয়েছে। তারা সকলেই মিলে AJL, ইয়ং ইন্ডিয়ান এবং কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের সহযোগিতায় এই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন।
ইডির মতে, কংগ্রেস যে ৯০.২১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে AJL-কে দিয়েছিল, তা রূপান্তরিত করা হয় ৯.০২ কোটি টাকার ইকুইটি শেয়ারে। এরপর এই শেয়ারগুলি ইয়ং ইন্ডিয়ান-এর নামে মাত্র ৫০ লাখ টাকায় স্থানান্তর করা হয়। এর ফলে সোনিয়া ও রাহুল হয়ে ওঠেন AJL-এর বিপুল সম্পত্তির 'বাস্তব উপভোক্তা'।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, যদিও ইয়ং ইন্ডিয়ান-কে "লাভজনক নয়" এমন সংস্থা হিসেবে কোম্পানি আইনের ধারা ২৫ অনুযায়ী নিবন্ধিত করা হয়েছিল, কিন্তু সংস্থাটি কোনো রকম 'চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটি' বা জনকল্যাণমূলক কাজ করেনি।
(PMLA) ধারা ৪ অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইডি
এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) ধারা ৪ অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইডি, যার অধীনে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০১৩ সালে, যখন প্রাক্তন মন্ত্রী সুভ্রামানিয়ান স্বামীর আবেদনের ভিত্তিতে একটি ট্রায়াল কোর্ট ন্যাশনাল হেরাল্ডের আর্থিক দিকগুলি নিয়ে তদন্ত এবং গান্ধীদের বিরুদ্ধে আয়কর মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়।
এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপে নজর থাকবে আদালতের ২৫ এপ্রিলের সিদ্ধান্তের দিকে।