Kailash Mansarovar Yatra 2025.
কৈলাশ- মানসসরোবর যাত্রার রেজিস্ট্রেশন শুরু
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং যুদ্ধের হুমকিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ভারত নিজের আত্মবিশ্বাস ও ঐতিহ্যের পথে অবিচল থেকেছে। পাহেলগাঁও হামলার ঠিক পরপরই ভারত সরকার ঘোষণা করে, বহু প্রতীক্ষিত কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার (Kailash Mansarovar Yatra 2025) নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার মধ্যেও ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভক্তি, সাহস এবং আধ্যাত্মিকতাকে পাকিস্তানের মত কাপুরুষ দেশ আটকাতে পারবে না। বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে এই যাত্রার জন্য সরকারি রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ায় গোটা দেশজুড়ে এক অদম্য সাহসের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে।
Image- NDTV
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাহেলগাঁও হামলার পর যেখানে পাকিস্তান নিত্য হুমকি দিয়ে চলেছে, সেখানে ভারতের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত এখন নির্ভীক আত্মবিশ্বাসী ভারত । আজকের ভারত জঙ্গিবাদ এবং পাকিস্তানি প্ররোচনার সামনে মাথা নত করে না, বরং বিশ্ব দরবারে আরও দৃঢ়, আত্মবিশ্বাসী ও আস্থাশীল এক মহাশক্তি। ভারতীয় জনমনে আজ একটি কথা দৃঢ়ভাবে গেঁথে গেছে— পাকিস্তান তার অতীত ভুলের মাশুল দিতেই থাকবে, আর ভারত এগিয়ে যাবে ভগবানের পথে, সাহসের পথে।
পাঁচ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা: ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যে চীন রাজি
পাঁচ বছর পর আবারও শুরু হতে চলেছে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থযাত্রা—কৈলাস মানসরোবর যাত্রা। ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষ ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই যাত্রা স্থগিত হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে চীন সম্মতি জানিয়েছে যাত্রা পুনরায় শুরু করার জন্য।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস ও সিকিমের নাথু লা পাস দিয়ে তীর্থযাত্রীরা যাত্রা করবেন। প্রতিটি রুটে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যাচে ৫০ জন করে যাত্রী অংশগ্রহণ করবেন। অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে: https://kmy.gov.in।
এই যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়া ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর পূর্ব লাদাখের ডেপসাং ও ডেমচকের মতো সংঘর্ষপূর্ণ এলাকা থেকে উভয় দেশের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে। এই পদক্ষেপগুলি দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
ভারতের এই কূটনৈতিক সাফল্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। কৈলাস মানসরোবর যাত্রা শুধু একটি তীর্থযাত্রা নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। এই যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়া ভারতের আত্মবিশ্বাস ও কূটনৈতিক দক্ষতার প্রতিফলন।
তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুকরা দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করুন এবং এই পবিত্র যাত্রার অংশ হোন।