আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনার জবাবি আঘাত: ‘INS Surat সফলভাবে সাগর-চুম্বক লক্ষ্যবস্তুতে MRSAM নিক্ষেপ করল
পালঘামে নির্মম সন্ত্রাসী হামলার ঠিক পরের দিনেই, ভারত শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাল। আজ, ভারতীয় নৌসেনা অত্যাধুনিক গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার INS Surat থেকে মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল (MRSAM) নিক্ষেপ করে আরব সাগরে একটি সাগর-চুম্বক লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন পাকিস্তান আরব সাগরে NOTAM জারি করে একটি নৌ-জীবন্ত গোলাবর্ষণ মহড়া চালিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানও একই এলাকায় একটি সারফেস টু সারফেস মিসাইল টেস্টের পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু ভারতের আগাম প্রস্তুতি ও সঠিক জবাব পাকিস্তানের সেই পরিকল্পনাকে কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
ভারতীয় নৌসেনার অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়েছে
#IndianNavy's latest indigenous guided missile destroyer #INSSurat successfully carried out a precision cooperative engagement of a sea skimming target marking another milestone in strengthening our defence capabilities.
— SpokespersonNavy (@indiannavy) April 24, 2025
Proud moment for #AatmaNirbharBharat!@SpokespersonMoD… pic.twitter.com/hhgJbWMw98
"#INSSurat ভারতীয় নৌসেনার সর্বাধুনিক দেশীয় নির্মিত গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার আজ সমুদ্রচুম্বক লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তিকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিল।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ‘কোঅপারেটিভ এঙ্গেজমেন্ট ক্যাপাবিলিটি’ বা CEC পদ্ধতিতে একাধিক নৌজাহাজ তথ্য ভাগ করে অত্যন্ত কম উচ্চতায় উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে ট্র্যাক ও ধ্বংস করতে পারে। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে এক বিশাল অগ্রগতি।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায় —
"এটি দেশের দেশীয় যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রমাণ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার পথে এটি এক দৃঢ় পদক্ষেপ।"
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পালঘামে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পরে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শক্ত কণ্ঠে বলেন —
“সন্ত্রাসবাদীরা যদি মনে করে ভারতের মনোবল ভাঙবে, তারা ভুল ভাবছে। আমরা শুধু হত্যাকারীদেরই নয়, যারা পেছন থেকে তাদের পরিচালনা করছে, তাদেরও চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেব।”
পাকিস্তান আতঙ্কে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য: পালঘাম হামলার পরে ভারতের দৃঢ়তা দেখে পাকিস্তান দ্রুত তাদের মিসাইল টেস্টের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সমুদ্র এলাকায় হঠাৎ NOTAM জারি করে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষা শক্তির উত্থান ও প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারিতে পাকিস্তান বিপাকে পড়ে গেছে।
এছাড়াও, কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে—
- ইন্দুস জলচুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত।
- আটারির ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ।
- SAARC ভিসা ছাড় স্কিমে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত সফরে নিষেধাজ্ঞা।
- নয়াদিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা ও নৌ উপদেষ্টাদের 'persona non grata' ঘোষণা ও দেশে ফেরার নির্দেশ।
- দুই দেশের হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত।
মোদীর শক্ত বার্তা: "পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত খুঁজে বার করব"
এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন —
“পালঘামের ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। তারা এমন শাস্তি পাবে যা কল্পনাও করেনি। ভারতের আত্মা কখনো সন্ত্রাসের কাছে হার মানবে না।”
আজকের ভারত আর আগের ভারত নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারত কেবল কড়া প্রতিক্রিয়া নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশীয় প্রতিরক্ষা শক্তি, আত্মনির্ভরতা ও বৈদেশিক কৌশলে মোদী সরকার প্রমাণ করছে — ভারত এখন আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ়, এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাত করতে সক্ষম।