বাংলাদেশের উপর ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! অর্থনৈতিক কৌশলে মোদির মাস্টারস্ট্রোক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আরও একবার প্রমাণ হলো, যুদ্ধ শুধু অস্ত্র দিয়েই হয় না—অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপও হতে পারে শক্তিশালী অস্ত্র। এবার বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিল, তা কার্যত একটি 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' বলে বিবেচিত হচ্ছে—তবে এইবার অস্ত্র নয়, চালক হল অর্থ মন্ত্রক।
কি সিদ্ধান্ত নিল ভারত?
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও কাস্টমস বোর্ড (CBIC) ৮ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়—বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা অবিলম্বে বাতিল করা হচ্ছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ আর ভারতের স্থলপথ, আকাশপথ কিংবা সমুদ্রপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে না।
#KahabarDuniyaKi | #India ends transshipment facility for #Bangladesh exports, cites congestion
— DD News (@DDNewslive) April 9, 2025
Watch Full Program: https://t.co/TekD5dBtXl pic.twitter.com/8StuwyyM34
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিশেষত ভুটান, নেপাল এবং মায়ানমারের সঙ্গে ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, যা রপ্তানির মূল স্তম্ভ, বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কেন এই কড়া পদক্ষেপ?
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের সফরকালে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভূমিবেষ্টিত, এবং সমুদ্রে প্রবেশের একমাত্র পথ বাংলাদেশ।” এই মন্তব্যে ভারত ক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেন নেক’-এর মতো কৌশলগত অঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশের মনোভাবকে ভারত তার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখে।
মোদির মাস্টারস্ট্রোক
প্রতিরক্ষা বা বিদেশ মন্ত্রক নয়, এইবার মোদি সরকার কৌশলগত আঘাত হানলো অর্থ মন্ত্রকের মাধ্যমে। নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রক বাংলাদেশের কৌশলগত স্বপ্নে জল ঢেলে দিল। একদিকে বাংলাদেশের কথিত ‘চিকেন নেক’ দখলের কল্পনাকে নস্যাৎ করা, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদির কড়া ও আত্মবিশ্বাসী নেতৃত্বের বার্তা—এই পদক্ষেপ দুই দিকেই সফল।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু বাংলাদেশ নয়, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশগুলিও উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে। তবে মোদির স্পষ্ট বার্তা—ভারতের অখণ্ডতা ও কৌশলগত নিরাপত্তা নিয়ে আপস করা হবে না।
২০১৬-র পাকিস্তানবিরোধী সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর, ২০২৪-এ মোদির আরেকটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, তবে এবার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মঞ্চে। বিশ্বকে আবারও দেখিয়ে দিলেন—মোদির মাস্টারস্ট্রোক মানেই গেম চেঞ্জার!