হনুমান জয়ন্তী ২০২৫ কবে, কখন, কীভাবে করবেন পূজা ? জানুন বিস্তারিত
হনুমান জয়ন্তী ২০২৫: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র উৎসব হল হনুমান জয়ন্তী। এই দিনে বজরংবলী তথা সংকটমোচন শ্রী হনুমান জির জন্মোৎসব পালন করা হয় সারা ভারত জুড়ে। ভক্তরা বিশেষ নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সাথে এই দিনটি উদযাপন করেন এবং হনুমান জির কৃপা লাভের জন্য উপাসনা করেন।
📅 হনুমান জয়ন্তী ২০২৫ কবে?
এই বছর হনুমান জয়ন্তী ১২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, এটি চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১২ এপ্রিল, ভোর ৩:২১ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৩ এপ্রিল, সকাল ৫:৫১ মিনিটে।
🕉️ শুভ মুহূর্ত ও পূজার সময়
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রী হনুমান জির জন্ম হয়েছিল সূর্যোদয়ের সময়। তাই ভোরবেলা থেকেই অনেক মন্দিরে ভজন, কীর্তন, আরতি এবং পাঠ শুরু হয় এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
Every School prayers in Bharat should Starts with Hanuman Chalisha like this
— Heritage Girl (@HeritageGirl7) July 25, 2024
Yes or No pic.twitter.com/QF4ZMZpgiZ
🙏
হনুমান জয়ন্তী পূজার সঠিক নিয়ম
- ব্রহ্মমুহূর্তে জেগে উঠুন এবং স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন।
- ঘরের মন্দিরে বা কাছাকাছি কোনো হনুমান মন্দিরে গিয়ে উপাসনা করুন।
- শুদ্ধ মনে হনুমান চালিসা, সুন্দর কাণ্ড পাঠ করুন এবং অঙ্গীকার সহকারে প্রার্থনা করুন।
- হনুমান জিকে তাঁর প্রিয় ভোগ যেমন – বুন্দি লাড্ডু, মিষ্টি পান, গুড়, কলা নিবেদন করুন।
- চাইলে উপবাস রাখুন এবং দিনভর ভক্তিভরে নাম স্মরণ করুন।
🔱 আধ্যাত্মিক গুরুত্ব
হনুমান জি হলেন ভগবান রামের পরম ভক্ত এবং ভক্তি, সাহস, নিষ্ঠা, শক্তির এক অনন্য প্রতীক। তিনি শুধু শত্রু বিনাশে সহায়তা করেন না, বরং ভক্তের সমস্ত বাধা, দুশ্চিন্তা, ঋণ এবং নেতিবাচক শক্তিকে দূর করেন। জীবনের যেকোনো সমস্যায়, তাঁর কৃপা ভরসা।
🪔 বিশেষ উপায় (উপায় ও প্রতিকার)
➤ স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য:
- লাল পোশাক পরুন, লাল ফুল, সিঁদুর ও মিষ্টি নিবেদন করুন।
- হনুমান বাহুক পাঠ করুন এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করুন।
➤ আর্থিক সমস্যা বা ঋণমুক্তির জন্য:
- জেসমিন তেলের প্রদীপ প্রজ্বলন করুন।
- হনুমান জিকে গুড় নিবেদন করুন।
- হনুমান চালিসা ১১ বার পাঠ করুন এবং সম্ভব হলে মিষ্টি দান করুন।
হনুমান জয়ন্তী শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বিশ্বাস, শক্তি এবং আশীর্বাদের এক বিশাল উপলক্ষ। এই পবিত্র দিনে হনুমান জির কৃপা লাভের জন্য সত্চেতনায় উপাসনা করুন এবং জীবনের সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠুন।
🔔 জয় শ্রী রাম। জয় বজরংবলী।
হনুমান চালীসা বাংলা – Hanuman Chalisa Bengali
হনুমান চালিসা হল ভারতীয় ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি। এটি হিন্দু ধর্মের প্রধান গ্রন্থগুলোর একটি এবং প্রায় ৪০টি শব্দে গঠিত। হনুমান চালিসা হল ভগবান হনুমানের স্তুতি । এটি মূলত সংস্কৃত ভাষায় লেখা হয়েছে এবং নামটি চালিসা নামের কারণে দেওয়া হয়েছে।
হনুমান চালীসা (Lyrics)
দোহা
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দাযক ফলচারি ॥
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥
চৌপাঈ
জয হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর ।
জয কপীশ তিহু লোক উজাগর ॥ ૧ ॥
রামদূত অতুলিত বলধামা ।
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা ॥ ২ ॥
মহাবীর বিক্রম বজরংগী ।
কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ॥৩ ॥
কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা ।
কানন কুংডল কুংচিত কেশা ॥ ৪ ॥
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ ।
কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ ॥ ৫॥
শংকর সুবন কেসরী নংদন ।
তেজ প্রতাপ মহাজগ বংদন ॥ ৬ ॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ ৭ ॥
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিযা ।
রামলখন সীতা মন বসিযা ॥ ৮ ॥
সূক্ষ্ম রূপধরি সিযহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জলাবা ॥ ৯ ॥
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচংদ্র কে কাজ সংবারে ॥ ১০ ॥
লায সংজীবন লখন জিযাযে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলাযে ॥ ১১ ॥
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাযী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভাযী ॥ ১২ ॥
সহস্র বদন তুম্হরো যশগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ ॥ ১৩ ॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ ১৪ ॥
যম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ ১৫ ॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায রাজপদ দীন্হা ॥ ১৬ ॥
তুম্হরো মংত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভযে সব জগ জানা ॥ ১৭ ॥
যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ ১৮ ॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লাংঘি গযে অচরজ নাহী ॥ ১৯ ॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ॥ ২০ ॥
রাম দুআরে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ ২১ ॥
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না ॥ ২২ ॥
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ ২৩ ॥
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ ২৪ ॥
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরংতর হনুমত বীরা ॥ ২৫ ॥
সংকট সে হনুমান ছুডাবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥ ২৬ ॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ ২৭ ॥
ঔর মনোরধ জো কোযি লাবৈ ।
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ ২৮ ॥
চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিযারা ॥ ২৯ ॥
সাধু সংত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ ৩০ ॥
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্হ জানকী মাতা ॥ ৩১ ॥
রাম রসাযন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ ৩২ ॥
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ ৩৩ ॥
অংত কাল রঘুপতি পুরজাযী ।
জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাযী ॥ ৩৪ ॥
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরযী ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করযী ॥ ৩৫ ॥
সংকট ক(হ)টৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ ৩৬ ॥
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাযী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নাযী ॥ ৩৭ ॥
জো শত বার পাঠ কর কোযী ।
ছূটহি বংদি মহা সুখ হোযী ॥ ৩৮ ॥
জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা ।
হোয সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ ৩৯ ॥
তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয মহ ডেরা ॥ ৪০ ॥
দোহা
পবন তনয সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয বসহু সুরভূপ্ ॥
🔒 Disclaimer
Manusher Bhasha (https://www.manusherbhasha.com) ব্লগটি একটি তথ্যভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পাঠকদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয়, সাহিত্যিক, শিক্ষামূলক ও জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখা প্রকাশ করা হয়। এখানে প্রকাশিত সব তথ্য, মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব গবেষণা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি।
আমাদের লক্ষ্য হল পাঠকদের সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা, তবে আমরা কোনো তথ্যের শতভাগ নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না। পাঠকগণ নিজ দায়িত্বে তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
Manusher Bhasha ব্লগে প্রকাশিত কোনো ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক বিষয়াবলী ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও প্রথার ওপর ভিত্তি করে উপস্থাপিত হয়। এই তথ্যাবলী কোনো ধর্মীয় উপদেশ বা বাধ্যবাধকতা নয়।
এই ব্লগে তৃতীয় পক্ষের লিঙ্ক (Third-party links) থাকতে পারে, যেগুলোর কনটেন্ট ও কার্যক্রমের জন্য আমরা দায়ী নই। সেইসব লিঙ্ক ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে পাঠকের নিজের দায়িত্ব।
এই ব্লগে ব্যবহৃত সমস্ত ছবি ও লেখা লেখকের মালিকানাধীন বা পাবলিক ডোমেইন থেকে নেওয়া। যদি কোনো কনটেন্টে স্বত্বাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, আমাদের জানালে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা হবে।
যোগাযোগ: যদি আপনি কোনো প্রশ্ন বা অভিযোগ জানাতে চান, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন 👉 contact@manusherbhasha.com