প্রাথমিকে (TET) বেপরোয়া দুর্নীতি’ — এক ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস Bikash Bhattacharya-র মুখে! বাতিলের পথে ৩২০০০চাকরি ?
বিশেষ প্রতিবেদন |
আজকের সবচেয়ে বড় ও গুরুতর ব্রেকিং! প্রাথমিকে দুর্নীতির অন্ধকার গলিপথে এবার এক ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। CAMPAIGN CALLING MEDIA-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন — ৩২ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ! এবং যেভাবে এই দুর্নীতি হয়েছে, তা শুধুই বেপরোয়া নয়, তা ভারতীয় সংবিধান এবং আইনকে প্রকাশ্যে অপমান করে বলেই অভিযোগ তাঁর।
"এই মামলার প্রধান আইনজীবীদের মধ্যে একজন বিকাশ ভট্টাচার্য স্পষ্টভাবে জানান — 'লিখিত পরীক্ষার কোনও রেকর্ড নেই, ইন্টারভিউ হয়নি, অথচ চাকরি হয়েছে!'"
তিনি দেখান যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এমন কিছু প্রার্থীকে নিয়োগ করেছে যাঁরা একটা প্রশ্নও লিখে আসেননি, অথচ তাঁদের মার্কশিট তৈরি হয়েছে, কোটেশন দেওয়া হয়েছে, এবং সুপারিশের ভিত্তিতে চাকরি মিলেছে!
CBI তদন্তের প্রসঙ্গে তিনি যা বলেন তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। তাঁর দাবি, CBI যে কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে তাতে স্পষ্ট যে —
- “এই নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় প্রশাসনিক স্তরের অনেক ওপরে।
- ফাইল চুরি হয়েছে, মার্কশিট পাল্টেছে, ফলাফল জাল করা হয়েছে!”
বিকাশবাবুর যুক্তি আইনত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি যে পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- Transparency & Rule Violation — নিয়োগে সরকারি গাইডলাইন ও রুল অফ ল-এর লঙ্ঘন
- Violation of Article 14 & 16 — সমানাধিকার ও সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব
- Criminal Conspiracy (IPC 120B), Forgery (IPC 465), Cheating (420) — এই ধারায় একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সম্ভাবনা
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় —
“বিকাশবাবুর আইনগত উপস্থাপনার ভিত্তিতে Supreme Court যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট — এই ৩২ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!”
তাঁর সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন —
“প্রথম থেকে বলে আসছি — এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ, জাল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। এখন আদালত নিজের পথে হাঁটছে।”
“এখন প্রশ্ন উঠছে — সরকার কি প্রস্তুত এই ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে?
আর যাঁরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি, তাঁদের ন্যায় কোথায়?
দুর্নীতির দুর্গ ভেঙে পড়ছে? Bikash Bhattacharya-র আইনি লড়াই ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত
“স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে — যদি ৩২ হাজার চাকরি অবৈধ প্রমাণিত হয়, তবে সেই চাকরিগুলোর ভবিষ্যৎ কী? বিকাশ ভট্টাচার্য কিন্তু খুব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন —
‘চাকরি বাতিল হওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই, যদি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিত্তিই অবৈধ হয়।’”
তিনি সুপ্রিম কোর্টে যে আইনি স্ট্যান্ড নিয়েছেন, তা খুবই কৌশলগত।
বিকাশবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়াটি ‘নাল অ্যান্ড ভয়েড’, অর্থাৎ শূন্য — কারণ
- কোনো লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র নেই
- কোনো ইন্টারভিউ হয়নি
- কোটেশন দিয়ে SMS দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন
- ফলাফল তৈরির আগে থেকেই মার্কশিট প্রস্তুত!
সুপ্রিম কোর্টে বিকাশবাবু বলেছেন:
“এই দুর্নীতি কেবলমাত্র SSC বা WB Board-এর ভুল নয় — এটি একটা সংগঠিত প্রশাসনিক অপরাধ। সমস্ত স্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে গেছে।”
এখানেই Bikash Bhattacharya-র আইনি অবস্থান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তিনি দাবি করছেন —
“এই দুর্নীতি মূলত Article 311-এর অপব্যবহার, যেখানে সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার আড়ালে দুর্নীতিকে রক্ষা করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু জনস্বার্থ মামলা (PIL)-এর মাধ্যমে তিনি এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক উন্মোচন করেছেন।”
MANUSHER BHASHA মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম প্রথম থেকেই বিকাশবাবুর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জনসমক্ষে তুলে ধরেছে, এবং স্বচ্ছ অনুসন্ধানে চব্বিশ ঘণ্টা নজর রেখেছে CBI তদন্তের প্রতিটি পর্যায়ে।
এই প্রতিবেদন দেখিয়ে দেয়, কীভাবে বিকাশবাবু কেবল আইনজীবী নয়, এক জন People’s Advocate হয়ে উঠেছেন — যাঁর লড়াই অযোগ্যদের অপসারণ নয় শুধু, বরং যোগ্যদের অধিকার পুনরুদ্ধার।”
সুপ্রিম কোর্ট যদি নির্দেশ দেয় চাকরি বাতিল করতে —
- ➡️ প্রাথমিক স্কুলে শূন্যপদের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাবে
- ➡️ নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে
- ➡️ রাজ্য সরকারের ওপর দায়িত্ব আসবে ক্ষতিপূরণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার
- ➡️ প্রশাসনিক স্তরে accountability তৈরি হবে
উঠে এসেছে এক ভয়ানক চিত্র —যেখানে বিকাশ ভট্টাচার্যের মত একজন সৎ, সাহসী এবং নির্ভীক আইনজীবী প্রমাণ করে দিলেন —
‘আইনের ওপরে কেউ নয়।’
তবে, শেষ প্রশ্ন —
এই ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁসের পর, কী জবাব দেবে রাজ্য সরকার?
আর আপনি, জনগণ — তৈরি তো এই আইনি ভূমিকম্পের জন্য?”