- পাকিস্তান দীর্ঘ তিন দশক ধরে সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ করেছে
- পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার হামলাকারীদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলে অভিহিত করেন
নিজস্ব প্রতিবেদন |
PM Modi has sent a clear message to the world from Bihar, when he spoke in English.
— The Voice Of Citizens®️ (@TVOCNews) April 24, 2025
Pakistan knows on #PahalgamTerroristAttack Modi has assured a unimaginable retaliation 🚀🚀💥💥 👊
All Political parties have also been taken together on the measures to come for Pakistan. pic.twitter.com/VoDVS5WkJa
তারই প্রতিক্রিয়ায় হতচকিত হয়ে পাকিস্তানের দুই শীর্ষ নেতা এমন কথা বলে ফেলেছেন, যা তারা সাধারণ পরিস্থিতিতে কখনও বলতেন না।
পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের একবার চরম উত্তেজনার মুখে। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। হামলার দায় নিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF), যারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন হিসেবে পরিচিত।
হামলার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান দীর্ঘ তিন দশক ধরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের হয়ে সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এটি আমাদের বড় ভুল ছিল, যার জন্য আমরা আজও মূল্য দিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, “পাকিস্তানে লস্কর-ই-তইবা এখন আর সক্রিয় নয়। অতীতে সম্পর্ক থাকলেও এখন তাদের অস্তিত্ব নেই। মূল সংগঠন না থাকলে ছায়া সংগঠনের প্রশ্নই ওঠে না।”
তবে এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এই হামলাকারীদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলে অভিহিত করেন, যা ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে প্রবল ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় তোলে। ইসহাক দারের এই মন্তব্যকে ভারতীয় মহল ‘নির্লজ্জ ও নীতিহীন’ বলে বর্ণনা করেছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈঠক ডেকে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি কয়েকটি কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। স্থগিত রাখা হয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি। বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের দেওয়া সমস্ত ভিসা। এমনকি চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা রোগীদেরও ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারি হয়েছে।
পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ বলে অভিহিত করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “আমাদের যদি ক্ষতি করা হয়, তাহলে ভারতীয়দেরও নিরাপদ রাখা হবে না। আমরা পাল্টা জবাব দেব।”
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে— যদি ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধুর জল আটকানো হয় বা দিক পরিবর্তন করা হয়, তাহলে তা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।
এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমাগত চড়ছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে এই নিয়ে— একদিকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও অন্যদিকে শক্ত প্রতিরোধের বার্তা— দক্ষিণ এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশের সংঘাত যেন কেবল সময়ের অপেক্ষা।