তেহট্টে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেশভক্তির বার্তা
মানুষের ভাষা ওয়েবডেস্ক
শহীদদের আত্মবলিদানকে স্মরণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই সাহসী সন্তানরা আমাদের মাতৃভূমির সুরক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।” তিনি শহীদ পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং এক নিঃস্বার্থ মানবিক উদ্যোগ হিসেবে সামান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
Today, I attended a solemn ceremony in Tehatta, Nadia district, to honour the Brave Martyrs who hailed from this place. I paid my respects to Shaheed Jhantu Ali Sheikh, Shaheed Subodh Ghosh, Shaheed Sudeep Biswas, and Shaheed Sukanta Mondal, remembering the supreme sacrifice of… pic.twitter.com/JL6bU3VMBp
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) April 29, 2025
শহীদদের পরিচয় ও বীরত্বের গল্প:
শহীদ ঝন্টু আলি শেখ:- তেহট্টের পাঠারঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন জম্মু ও কাশ্মীরের উদমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টারে শহীদ হন। এই ঘটনা ঘটে পাহেলগাম হামলার ঠিক পরে।
শহীদ সুকান্ত মন্ডল:- নদিয়ার হংসপুকুরিয়া, পলাশিপাড়া গ্রামের সন্তান সুকান্ত সেনা মহড়ার সময় বাবিনা ক্যান্টনমেন্টে T-90 ট্যাঙ্কের বিস্ফোরণে প্রাণ হারান।
শহীদ সুবোধ ঘোষ: রঘুনাথপুর, তেহট্টের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লার উরিতে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে শহীদ হন।
শহীদ সুদীপ বিশ্বাস:- তেহট্টেরই সাহসী সন্তান সুদীপ সিআরপিএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহীদ হন, যেখানে ৪০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তব্যে বারবার শহীদদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই শহীদদের স্মরণ শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। ওঁদের পরিবারের পাশে থেকে আমরা তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্য স্বীকার করি।”
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টতই দেখিয়ে দিলেন, তিনি রাজনীতির সীমা পেরিয়ে এক দেশভক্ত নাগরিক হিসেবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বদ্ধপরিকর। তাঁর এই মানবিক ও সংবেদনশীল ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে তেহট্টের জনসাধারণ ও শহীদ পরিবারগুলির তরফে।
এই শহীদরা কেবল নদিয়ার নয়, সমগ্র ভারতের গর্ব। তাঁদের আত্মত্যাগের কাহিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে দেশসেবার প্রেরণা জোগাবে।