মুর্শিদাবাদ সহিংসতার প্রতিবাদে মমতার কেন্দ্র ভবানীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল
এবার খোদ মমতার পাড়ায় ঢুকে শুভেন্দুর মিছিলে আওহ্বান - "বাঙালী হিন্দু বাঁচাও"
কলকাতা, ১৯ এপ্রিল ২০২৫:
মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে আয়োজিত এই মিছিল শুরু হয় এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ির সামনে থেকে এবং প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
বিজেপির যুব মোর্চার আয়োজিত এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব সহ সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত এবং তাপস রায়ের মতো নেতা-নেত্রীরা। মিছিল শেষে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান।
তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির নেতাদের উপর পুলিশ-প্রশাসনের তরফে দ্বৈত আচরণ করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, "আমি গত শুক্রবার মোথাবাড়ি (মালদহ) গিয়েছিলাম। আমাকে হাই কোর্টের আদেশ ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়নি। অথচ সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের শুভঙ্কর সরকার নির্বিঘ্নে সেখানে যেতে পারেন। আপত্তি শুধু বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রেই। আর আমি তো বিরোধী দলনেতা, তাই বাধা আরও বেশি।"
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে এনআইএ তদন্তের দাবিতে আবেদন করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পেছনে আন্তর্জাতিক, বিশেষত বাংলাদেশি উপাদানের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
দমদমেও বিজেপির একটি প্রতিবাদ মিছিল
এদিন শুধু ভবানীপুরেই নয়, একইসঙ্গে দমদমেও বিজেপির একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়, যেখানে দলটির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সদ্য বিবাহিত দিলীপ ঘোষ শনিবারই আবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সহিংসতায় রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ ও সিএপিএফ-এর তৎপরতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বাড়তি বাহিনী, এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ইস্যুতে সরব হয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসনিক পক্ষপাত এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে আরও বিতর্ক তৈরি করতে পারে।