যোগীর তীব্র আক্রমণ: "ডান্ডার ওষুধই একমাত্র সমাধান।” "বাংলা জ্বলছে, মুখ্যমন্ত্রী নীরব!"
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারিতেও কান দিচ্ছেন না মমতা?
মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তি ঘিরে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর তীব্র কটাক্ষ, “বাংলা জ্বলছে, আর মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ বসে আছেন! যাঁদের রুখতে হবে, তাঁদের ডান্ডার ওষুধই একমাত্র সমাধান।”
कुछ लोग कह रहे हैं कि उनके लिए 'संविधान' से बढ़कर 'शरीयत' है,
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) April 15, 2025
मैं 'उनसे' कहना चाहता हूं- भारत तो बाबा साहब के द्वारा बनाए गए संविधान से चलेगा, जहां शरीयत का कानून लागू होता है, उनको वहां जाना चाहिए... pic.twitter.com/7DkfIBQDep
ওয়াকফ আইন ঘিরে বিক্ষোভ, প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট
সমশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকায় ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কয়েকদিন আগে, যা দ্রুত রূপ নেয় সহিংসতায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যে সেই ব্যর্থতার চিত্রই উঠে এল আরও স্পষ্টভাবে।
তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে ২০১৭-র আগে দাঙ্গা লেগেই থাকত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি শান্ত, কারণ আমরা অপরাধের সঙ্গে আপস করিনি। বাংলায় যাঁরা দাঙ্গা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করে মুখ্যমন্ত্রী উলটে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিচ্ছেন।”
শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারিও উপেক্ষিত?
অশান্তির সূচনাতেই বিজেপি নেতা ও বিরোধী দলনেতা সুভেন্দু অধিকারী মুখ খুলেছিলেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন সরকারকে যে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের তরফে দৃঢ় পদক্ষেপের অভাব লক্ষ্য করা গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে।
শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, “এই আগুন শুধু মুর্শিদাবাদে নয়, গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।” কিন্তু তাঁর সেই বার্তাও মমতা সরকার উপেক্ষা করেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যোগীর বার্তা: দাঙ্গাবাজদের ওষুধ ‘ডান্ডা’
হারদোইয়ের একটি জনসভায় যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “দাঙ্গাবাজদের শান্তির দূত বললে তারা আরও উৎসাহ পায়। বাংলায় এখন প্রয়োজন শক্ত হাতে দমন নীতি।” তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টিও এই পরিস্থিতি নিয়ে চুপ করে থাকায়, সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন।
যোগীর বক্তব্যে স্পষ্ট, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে তিনি তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতাকে সামনে আনতে চাইছেন। একইসঙ্গে সুভেন্দু অধিকারীর সতর্ক বার্তাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মন্তব্য কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। তবে এখনই বলা যায় — বাংলায় অশান্তির আঁচে রাজনীতি ফের উত্তপ্ত।