পাহালগাম হামলার পর কড়া পদক্ষেপ: অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে যোগী আদিত্যনাথের অভিযান তীব্রতর
লখনউ, ২৯ এপ্রিল (এএনআই সূত্রে) : জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগাম অঞ্চলে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান শুরু করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে বসবাসকারী অবৈধ পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এবার একইভাবে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে। অনেক অনুপ্রবেশকারী ভুয়া পরিচয়ে বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন করে আছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গেছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ কমিশনার এবং সিনিয়র পুলিশ সুপারদের ৭৫টি জেলায় দ্রুত শনাক্তকরণ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ভারত-নেপাল সীমান্তের অবৈধ নির্মাণ ধ্বংসের কাজও চলছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তরপ্রদেশই ভারতের প্রথম রাজ্য, যেখানে শতভাগ অবৈধ পাকিস্তানি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই পুরো অভিযানের নেতৃত্বে সরাসরি যোগী আদিত্যনাথ রয়েছেন। পাহালগাম হামলার পর কেন্দ্র সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের সব ভিসা (দীর্ঘমেয়াদী এবং কূটনৈতিক ছাড়া) বাতিল করেছে, যেখানে যোগীর কঠোর মনিটরিং বড় ভূমিকা পালন করেছে।
যোগী আদিত্যনাথ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অবিলম্বে পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয় এবং দ্রুত ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়। গোটা রাজ্যে ৭৫টি জেলায় এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের চলমান উত্তেজনার আবহে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে 'ওয়াক্ফ বিরোধী আন্দোলন'ও নতুন করে জোর পাচ্ছে। বহু জায়গায় স্থানীয় জনগণ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে স্বচ্ছতা ও জমির মালিকানা সংক্রান্ত ন্যায্যতার দাবি তোলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে বেআইনি অনুপ্রবেশ, অবৈধ সম্পত্তি দখল এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে যোগী আদিত্যনাথের কঠোর পদক্ষেপ একদিকে যেমন উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা জোরদার করছে, অন্যদিকে বাংলায় ওয়াক্ফ-সম্পর্কিত বিতর্কের মধ্যেও নতুন মাত্রা যোগ করছে।