মেহুল চোকসির গ্রেপ্তার: মোদি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির আরেকটি সাফল্য
Image - NDTV
নয়া দিল্লি, ১৪ এপ্রিল ২০২৫:
পলাতক হীরাকারবারি মেহুল চোকসিকে বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, যা ভারতের জন্য এক বিশাল কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক সাফল্য। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে এই গ্রেপ্তার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
প্রায় ১৩,৮৫০ কোটি টাকার জালিয়াতির মূল অভিযুক্ত
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB)-এর প্রায় ১৩,৮৫০ কোটি টাকার জালিয়াতির মূল অভিযুক্ত চোকসি বহু বছর ধরেই ভারতীয় বিচারব্যবস্থা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তবে মোদি সরকারের কৌশলী আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও শক্তিশালী আইনি পদক্ষেপের ফলেই অবশেষে বেলজিয়ামে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৬ সালেই বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক উদ্যোক্তা হরিপ্রসাদ চোকসির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য জালিয়াতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে (PMO) সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ব্যালেন্স শিটে তখনই অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল, আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানাই।” সেই হুইসেল-ব্লোয়ারের কথাগুলিই আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
চোকসির গ্রেপ্তারের খবরে হরিপ্রসাদ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “এটি কেবল ভারত নয়, বরং যারা তার দ্বারা প্রতারিত হয়েছে তাদের জন্য এক বিশাল সুখবর। মোদি সরকারের উচিত তাকে দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।” তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু ফিরিয়ে আনা নয়, দেশের বাইরে চোকসির লুট করা হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার কাজটিও এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি এই সরকার সফল হবে।”
মেহুল চোকসি বর্তমানে আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তার আইনজীবীরা শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তার প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করতে চাইছে। তবে ভারত সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করছে, এবার আর সে পার পাবে না।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের ব্যাপারে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যারা এতদিন ধরে ভাবতেন দুর্নীতিবাজেরা বিদেশ পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ থাকবে, তাদের কাছে এই বার্তা স্পষ্ট— মোদি সরকারের কাছে কেউই ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভারত এখন আরও শক্তিশালী ও অদম্য।