ওয়াকফ আইন ঘিরে মুর্শিদাবাদে অশান্তি, ৪০০-র বেশি হিন্দু পরিবার বাস্তুচ্যুত: দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
মুর্শিদাবাদ, ১১ এপ্রিল:
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ানে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন ঘিরে বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেওয়ার পর তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ওই সহিংসতার জেরে অন্তত ৪০০ হিন্দু পরিবার তাদের বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
More than 400 Hindus from Dhulian, Murshidabad driven by fear of religiously driven bigots were forced to flee across the river & take shelter at Par Lalpur High School, Deonapur-Sovapur GP, Baisnabnagar, Malda.
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) April 13, 2025
Religious persecution in Bengal is real.
Appeasement politics of… pic.twitter.com/gZFuanOT4N
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার, যখন ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই আগুন থেকেই ছড়িয়ে পড়ে বিশৃঙ্খলা। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল সরকারের “তুষ্টির রাজনীতি” রাজ্যে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে, যার ফলে এই ধরনের অশান্তি ক্রমশ বাড়ছে।
এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, “ধর্মীয় উগ্রতার কারণে ধুলিয়ান থেকে ৪০০-রও বেশি হিন্দু পরিবার মুর্শিদাবাদ নদী পেরিয়ে মালদার পার ললপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, পুলিশ উপস্থিত থেকেও কোনো সহায়তা করেনি। শুধু দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি রাজ্য ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ-এর হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, “এই জিহাদি সন্ত্রাস থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। বাংলার সামাজিক ফ্যাব্রিক ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের এখনই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তদন্ত চলছে। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যকে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে এবং বিএসএফ-এর পাঁচটি কোম্পানি ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনো শুভেন্দু অধিকারীর দাবির কোনও সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
poli
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার প্রভাব গভীর। আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।