শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক মন্তব্য: 'এসএসসি-পরীক্ষার নামে আবার ৫০০ কোটি তুলবে তৃণমূল', মুর্শিদাবাদ নিয়েও কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রতিবেদক: মানুষের ভাষা নিউজ ডেস্ক
কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আবারও তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, “নতুন করে পরীক্ষা হওয়া মানে তৃণমূল আবার প্রশ্ন বিক্রি করবে, ভাইভার ১০ নম্বর তো তৃণমূলের হাতে। নিজের লোকদের ৯.৫ নম্বর দেবে, আর যাদের বাদ দিতে চায় তাদের ১-২ নম্বর দেবে। এর মাধ্যমেই আবার নির্বাচনের আগে ৫০০ কোটি টাকা তোলা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিষয়টা এখন অত্যন্ত জটিল। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের চাকরি বাঁচাতে চাইছিলেন, আদালত তাঁদের নয় মাসের বেতন নিশ্চিত করলেও সকলকেই ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। তৃণমূল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে দুর্নীতির ফাঁদ পাতবে।”
শুধু এসএসসি নিয়োগ নয়, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়েও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, “এটা কোনো সাধারণ দাঙ্গা নয়, এটা পরিকল্পিত ধর্মযুদ্ধ। কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হিন্দুদের সরিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূলের প্রভাবিত গোষ্ঠী। এর সমাধান একটাই—প্রথমত এনআইএ দিয়ে তদন্ত করে পুরো রুট বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যেসব এলাকায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে প্রত্যেককে লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হোক আত্মরক্ষার স্বার্থে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “ধুলিয়ান মিউনিসিপালিটির তৃণমূল চেয়ারম্যান ইনজাম উল-কে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য পুলিশ। আমি ট্যুইট করে আগেই তথ্য সামনে এনেছিলাম। তৃণমূল বলছিল, বাংলাদেশ নেপথ্যে। কিন্তু আসল ঘটনা চাপা দিতে চাইছিল রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকৃত তথ্য বের করে আদালতে জানিয়েছে।”
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়—কোচবিহারের দিনহাটা থেকে ক্যানিং, বাসন্তী পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁর বক্তব্য, “এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তবেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব।”
রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসা এখন সময়ের অপেক্ষা।