বন্ধ ঘরের ভেতর ৫ জনের লাশ! মা-বাবা মেঝেতে শুয়ে আছেন; বাক্সে তিন মেয়ের লাশ
Image - Hindustan
বৃহস্পতিবার রাতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে একই পরিবারের পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় । কারা এক দম্পতি ও তাদের তিন মেয়েকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। বিছানার একটি বাক্সের মধ্যে তিন শিশুর লাশ লুকানো ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের লিশাদি গেট থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পুরনো শত্রুতাকে অনুমান করেছেন তদন্তকারীরা।
#Family of five found #dead at home in #UP's #Meerut; cops say, 'doors locked from outside' 🗞️ Catch the day's latest news and updates ➠ https://t.co/BUsWa40LLJ pic.twitter.com/G5VEASYtpH
— Economic Times (@EconomicTimes) January 10, 2025
পুলিশ জানিয়েছে যে তারা থানায় একটি কল পেয়েছিল যে বাড়িটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল, বাসিন্দাদের কেউ নিখোঁজ নেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পায়।
নিহতদের নাম 20 বছর বয়সী অরুণ কুমার এবং 18 বছর বয়সী অরুণ কুমার। নিহতরা হলেন- মইন, তার স্ত্রী আসমা ও তাদের তিন মেয়ে আফসা (৮), আজিজা (৪) ও আদিবা (১)।
Five of a family murdered in Meerut district of Uttar Pradesh. A man identified as Moin, his wife and three daughters 8, 4 and 1 were bludgeoned to death. Bodies of the daughters were recovered from a bed trunk in the house locked from outside. pic.twitter.com/tmEBQT56zr
— Piyush Rai (@Benarasiyaa) January 9, 2025
তদন্তকারীদের মতে, বাড়িটি যেভাবে তালাবদ্ধ ছিল তা থেকে বোঝা যায় অপরাধী সম্ভবত পরিবারের পরিচিত। প্রাথমিক তদন্তে পুরনো শত্রুতার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলামত সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় চলে এসেছে। মেইন পেশায় একজন মেকানিক ছিলেন। বুধবার থেকে তিনি ও তার স্ত্রী আসমা নিখোঁজ ছিলেন। মইনের ভাই সেলিম ভাইকে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে বৃহস্পতিবার মইনের বাড়িতে যান। তালা দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বাড়ির ভেতরে মেঝেতে মইন ও আসমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর খাটের নিচে একটি বাক্সের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল তিন মেয়ের লাশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের একজনের পা বিছানার চাদর দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এবং তাদের উদ্দেশ্য কী তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।