মৃতদেহ বিক্রির চক্র !? সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর কি কি মারাত্নক অভিযোগ প্রাক্তন আধিকারিকের
MANUSHER BHASHA -
Photo Bangla Hunt
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর তদন্তের আওতায় আসা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঝামেলা কমছে বলে মনে হচ্ছে না বরং তা বেড়েই চলেছে। এবার তারই প্রাক্তন সহকর্মী তথা প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলী তার বিরুদ্ধে মারাত্নক অভিযোগ আনলেন। একদিকে তাকে ক্রমাগত জেরা করছে সিবিআই অন্যদিকে এই অভিযোগ তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে আন্দোলন করি সব মহলের ধারণা।
এরই মধ্যে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠেছে। ইন্ডিয়া টুডের সাথে একান্ত কথোপকথনে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আখতার আলি দাবি করেছেন যে সন্দীপ ঘোষ দাবিহীন মৃতদেহ বিক্রি সহ অনেক বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে সন্দীপ ঘোষ বাংলাদেশে বায়োমেডিকেল বর্জ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাচারে নিয়োজিত ছিলেন।
আখতার আলী ২০২৩ সাল পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে দ্বায়ীত্বে আসীন ছিলেন । তিনি বলেন যে এই বিষয়ে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি অভিযোগ করলে তাকে বদলি করা হয়
আখতার আলী দাবি করেন তিনি ডাঃ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত রিপোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু এরপর আরজি হওয়ার পর তাঁকে বদলি করা হয়। তিনি বলেন, 'আমি যেদিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি সেদিনই আমাকে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্যকেও বদলি করা হয়েছে। এই লোকের হাত থেকে ছাত্রদের বাঁচানোর জন্য আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।
সন্দীপ ঘোষ, যিনি ডাক্তার হত্যার তীব্র প্রতিবাদের মধ্যে পদত্যাগ করেছিলেন, এবং পদত্যাগের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কলকাতা মেডিকেল তাকে কলেজে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে সরকারকে তিরস্কার করে এবং সন্দীপ ঘোষকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠিয়েছে।আখতার আলী দাবি করেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাস করার জন্য সন্দীপ ঘোষ ঘুষ চাইতেন।
তিনি বলেন, কলেজে কিছু শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করা হয়েছে। যাতে তিনি টাকা আদায় করতে পারেন বলে অভিযোগ করেছেন সন্দীপ ঘোষের কমিশন সব জায়গায়।
এখনো পর্যন্ত ৬ বার জিজ্ঞাসাবাদ
সন্দীপ ঘোষকে চারদিক থেকে সিবিআই ঘিরে ধরেছে । বুধবার টানা ষষ্ঠ দিন ডক্টর সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে CBI টিম। এখনও পর্যন্ত তাকে ৬৪ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত নতুন মামলায় ডক্টর ঘোষের ঝামেলা বেড়েছে। বুধবার তাকে লালবাজারে পুলিশের সামনে হাজির হয়ে দুর্নীতির মামলায় জবানবন্দি দিতে হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্বয়ং সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
Tags
sangbad